ডায়েরি, ২০১৯
১.
সময় তার খেয়ালি মুহূর্তে প্রবল সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেয়। নড়বড়ে আমি পালিয়ে
যাই পৃথিবীর দক্ষিণ কোণে, যেখানে রূপালি খুঁটিতে একটি পাহাড়ি ছাগল বাঁধা আছে। সুখ
দুঃখের পরপারে সেই একমাত্র উত্তর। শুনশুনে হাওয়া ছাড়া যেসব স্তব্ধতাগুলি আছে, তার
মধ্যে সেই একমাত্র। খুব নিবিড় এক পতনের শব্দ কেবল তার মধ্যে ডুবে আছে...
২.
তোমার হাত থেকে নরম উত্তরগুলো আর খুঁটে খাবোনা। কাঙাল, আমায় অস্তের দিকে নিয়ে
চলো! যে পথে সম্পূর্ণ হয়েছে মনোকষ্টগুলি, যার কাঁকরের ভিতর মিশে আছে যাদুবাস্তবতা,
তার সেই আষাঢ়ে প্রিয়ার দিকে...
৩.
পৃথিবীর গরিব প্রচ্ছদগুলি টুকে রাখতে গিয়ে, এই তো পড়তে পারলাম তার খুদে আর
আবছা অক্ষরগুলি!
ছবি? সেতো অপেক্ষার মতো করুণ ও নির্জন। পাতা ঝরার সময়ে সহ্য করেছে কারো বিষণ্ণ
চাউনি, লক্ষ্য করেছে দাঁত, নখ, তার মাত্রাহীনগুলি। এবার বিকেলে যাকে সহজেই ফেরানো
গিয়েছে খালি হাতে...
৪.
সব গোলাপ শেষ পর্যন্ত কাফনের দিকে নুয়ে পড়ে, আর আমাদের নতুন কিছু বলার থাকেনা।
ইতিহাস স্পর্শ ক’রে এই এক থেমে থাকা, যার
মধ্যবিন্দুতে সব কাতরতা। নুড়ি ও বিদ্যুতে ঘসা লাগা এক শূন্য আলপনা। এইসব নীরব তাই
শুইয়ে রাখি রাতকানা পখির কোটরে...
৫.
ঢাক ছোটবেলা থেকে বিসর্জনেরই ছিল। সেই তুমুলে কাকপক্ষীরা স্থির, আর পাতার
সামান্য ঝিরিঝিরি। সামান্য দেরিতে বসন্ত জাতীয় ঘাসের খোঁচা খোঁচা জঙ্গলে ফুটেছি
বিশুদ্ধ উপমা। রক্তাক্ত পদচ্ছাপ ফেলে আমার দিকে সরাসরি এগিয়ে আসছেন ইশ্বর...
No comments:
Post a Comment