Wednesday, February 20, 2019

স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায়







পরকীয়া

পর্দা সরে গেলে দু’দিকের জানলা স্পষ্ট হয়
বিড়ালচোখো এক মেয়ে একটু তীব্র চোখে
তাকিয়ে চলে গেলো ভিতর ঘরে
তার কাঁধে আঁচড় চিহ্ন
বেলা বাড়তে আরো ছায়া ঘিরে ধরে বাড়িটিকে
বাড়িটিকে ঘিরে যেন সূর্জ প্রদক্ষিণ করে
আহ্নিক ও বার্ষিকগতি পাল্টায়

তারপর আর এক অন্য মেয়ে দেখি
মেয়ে নয় বউ
তার চোখেও গুঁড়ি মেরে বিড়াল বসে
গালে আঁচড়ের চেরা লাল
বুকে দু’খানি থাবার রোমশ গোল

এরপর আরো দু’টো জানলা খোলে
বস্তুত বাড়িটি পুরো খুলে যায়
হাট হওয়া বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে
সমুদ্রছাপ জলের নোনা
অনেক অনেক মেয়ে শাঁখ বাজায় উলু দেয়
প্রতিজনের কাঁধ আর বুক একরকম
প্রতিজনের চোখে একটি দু’টি বিড়াল
প্রতিজনের মুখ আঁশহীন সাদা মাছ  




বিরহ


চেক শার্টের গায়ে কথারা ঘুরছিলো
আমি পড়তে পেরেছি
তুই চোখের ভেতর থেকে সব ভাষা
বের করে নিলি
থাবার মতো গাঢ় মুঠোর মতো ছটফট
করছিলো কথার ঢং ও চেহারা
চা পাতার জঙ্গল জমে উঠছিলো এখানে সেখানে
গাছে গাছে টাঙানো ছিলো তোর চোখের
পলক ঘন হাসির সাদা কপালের দ্রাঘিমাংশের চাঁদ
আমার এইসব না পাওয়ার মাঝে কিছু পাওয়া জমছিলো
আমার এইসব বিরহের ফাঁকে ফাঁকে কিছু
একা হওয়া চকোরী মিল খুঁটে খাচ্ছিলো


দোতলা ঘরের গল্প

সমুদ্র কাছেই ছিলো ঝিনুকের খোল
ও কিছু শঙ্খের সফেদি দুলে
উঠছিলো আলোর দোলনায়
জেলিফিস রঙের ফুল পড়েছিলো
বালির উমরভেদি ঘরের দোতলা
সমুদ্র কাছেই ছিলো আমার জানলায়

সাইকেলের সিট ও বেলে তার গন্ধ
নর্মে জেগে ছিলো
বুকের ভেতর যে জাহাজ কাঁপছিলো
মৎসকন্যা তার জালে রূপোলি হয়ে
ভেসে ওঠার আগেই ধরা পড়ে যায়

No comments:

Post a Comment

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"একটা কথা আমি বলি। আমরা অনেকগুলো জিনিস খবরের কাগজে দেখি। সারফেসে দেখি, তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যাই। আমাদের আর কিন্তু প্...

পাঠকের পছন্দ