সমুদ্র
ও সরাইখানা
মাঝরাতে
সমুদ্র আর সরাইখানাকে আমার কাছে একই বলে মনে হয়—একই রকম কলরব, একই রকম গান ও ঘ্রাণ,
একই রকম ঢেউ! সমুদ্রের উপচানো ফেনাকে মনে হয় গেলাসে গেলাসে জমা তরল আরক!
এক
সমুদ্রসারস ধীর লয়ে ডানা মেলে উড়ে যায় মাস্তুলের ফুঁসে ওঠা গ্রীবা চিরে—নীল জলরাশি
ছুঁয়ে তার শঙ্খঘ্রাণ যেনবা আছড়ে পড়ে মর্চে পড়া ডকইয়ার্ডের
তীরে!
বাইরে
সৈকত থেকে কিছুটা দূরেই এক সহিস আমার জন্যে অপেক্ষা করছে তার রোমশ শ্বেতাভ ঘোড়া নিয়ে—সে
আমাকে পৌঁছে দিবে লণ্ঠন জ্বালানো এক পানশালায়—যেখানে কৃস্টাল লবণের
ঘ্রাণে আর স্ফটিক নারীর শাদা অন্তর্বাসে মাঝরাতে ভেসে বেড়ায় শুধু সমুদ্রের স্রোতকান্না!
বৃষ্টিভাষা
বৃষ্টির
ভাষাতে আজ কথা বলি—এ ভাষা সুরের, প্রেমের আর মোহলাগা ঘন বেদনার! জানি মাটিতে বৃষ্টির
ঘ্রাণ কুমারীর শরীরের ঘ্রাণ হয়ে কথা বলে—জেগে ওঠে প্রেমিকের রাতজাগা স্বরে!
বাইরে
সুরেলা বৃষ্টি ঝরে পড়ে—জঙ্গলের ঘাসগুলো বহুদিন পর বৃষ্টির ছোঁয়ায় ফিরে পায় লুপ্ত অভিজ্ঞান—যেমনটি
পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী ফিরে পায় গাঢ় সংবেদন—বিদ্যুৎ থেরাপি নেবার পরে!
বৃষ্টির
ভাষাতে আজ কথা বলো—বৃষ্টির শব্দতে আজ গেয়ে ওঠো—দ্যাখো তোমার প্রতিটি রোমকূপে আজ বেজে
ওঠে জ্যোতির দোতারা—জেগে ওঠে প্রেমিকের সান্ধ্যভাষা গান!
No comments:
Post a Comment