( সূত্রঃ বিজ্ঞানের জয়যাত্রা)
(১)
চায়ের জল চাপিয়ে স্নানে গেছ
সমুদ্র উত্তাল।
জল ফুটে বাষ্প বেরিয়ে পড়ে।
আকাশে বিরাট ঢাকনা
ছিটকে লাফিয়ে ওঠে।
তুমি ছুটে বাইরে বেরোও
কী আশ্চর্য!
আকাশ ফুটো করে
ঢাকনা বেরিয়ে যায়!
মহাকাশের যত রশ্মি
বাতাসে পাঠায়।
কী গরম উফ্
পৃথিবীর সমস্ত জল বাষ্প…
পৃথিবীর সমস্ত ঢাকনা ছিটকে…
সমস্ত জড় হঠাৎ…
হাজার হাজার অশ্বের গতি পায়!
(২)
খনির ভেতর থেকে শব্দ আসছে।
ক্ষীণ।
জলের ভেতর থেকে শব্দ আসছে।
ক্ষীণ।
বাষ্পের ভেতর থেকে শব্দ আসছে।
ক্ষীণ।
বেলা বাড়ে।
শব্দ বাড়ে।
বাড়তে বাড়তে বাড়তে বাড়তে
কান ফেটে পর্দা বেরিয়ে পড়ে।
ধাতুযন্ত্রপিস্টন। ধাতু- যন্ত্র- পিস্টন।
ধাতু। যন্ত্র...।
পৃথিবীর সমস্ত কান বধির
সমস্তই ক্ষীণ
ঝুলকালি মেখে আগুন পোহাচ্ছি
আমরা :
কয়েক প্রত্নজিন
(৩)
ভগবানের রাগ।আকাশ থেকে
বিদ্যুৎ ছুঁড়ে মারে।
আমি ঘুড়ি উড়িয়ে সেই
বিদ্যুৎ টেনে নামাই।
যন্ত্রের ভিতর তাকে
জমিয়ে রেখে খাই।
ভগবানের ভয়, মানুষ—
বিদ্যুৎ দণ্ডটি খেতে খেতে
নিজেই না কখন
ভগবান হয়ে যায়!
(৪)
ধাতব মাছি।তার লাল চোখ, ডানা নীল
আকাশ থেকে বেগুনী আলো শোষে
ঢোকে এ শরীর।
কলকব্জা নাড়ে।রাগ হিংসা জমে আছে—
যে সমস্তমাথায়,
ঘিলু টেনে চুষে তাতে
গাঢ় নীল মেশায়।
হাসতে হাসতে মুন্ডগুলির
পেট ফেটে হিংসা বেরিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment